নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নগরীর আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন ৩৬২ ভোট। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে প্রথম হওয়া তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। এ ছাড়া দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল মামুন পেয়েছেন ৫৩ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের মাছুম বিল্লাহ পেয়েছে ৪৮ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ১২ ভোট, বটগাছ প্রতীকের জসীম উদ্দিন পেয়েছেন দুই ভোট ও হাত ঘড়ি প্রতীকের রাশেদ ফেরদৌস পেয়েছেন ১৪ ভোট।
এই কেন্দ্রে ১ হাজার ১৭৩ ভোটার ভোট দেন। তবে দুটি ভোট বাতিল হয়। আর ২ হাজার ৮২ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন।
এর আগের সিটি নির্বাচনে শামীম ওসমান ভোট দিয়েছিলেন বার অ্যাকাডেমিতে। এবার ভোট দেয়ার পর কেন্দ্র পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেন শামীম ওসমান।
আওয়ামী লীগের এই রাজনীতিক বলেন, ‘এর আগে জাতীয় নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভোট দিয়েছি। এবার সিটি নির্বাচনে মনে হয়েছে আমার একটি ভোট দেয়া দরকার, তাই আমি এখানকার ভোটার হয়েছি।
‘অনেকেই আমার বাড়ি থেকে কাউকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন, এ কারণে আমি আগে থেকেই নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম। আমি চাইনি পলিটিকস উত্তরাধিকারী সূত্রে হোক, পলিটিকস যোগ্যতার মাধ্যমেই হওয়া উচিত।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার এবং চারজন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ফলের অপেক্ষায় আছেন প্রার্থীরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে প্রচার করা হচ্ছে নির্বাচনের বেসরকারি ফল।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে।
বাবার কবর জিয়ারত করে রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হলে নিশ্চিতভাবে আবারও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমি জিতবই, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জিতবই।’