বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বিতীয় দিনে অভিহিত মূল্যের নিচে বেক্সিমকোর সুকুক

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৩

গত বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে সুকুকের সর্বোচ্চ দর ওঠে ১১০ টাকা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই সুকুকের দিন শেষে দর দাঁড়ায় ১০১ টাকা। তারপর সরকারি দুদিন ছুটির পর রোববার সপ্তাহের প্রথম লেনদেনেই দরপতনের ধাক্কা লাগে। এদিন মাত্র ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৪টি বন্ড লেনদেন হয়েছে।

পুঁজিবাজারে গত ১৩ জানুয়ারি লেনদেন শুরু করা গ্রিন সুকুক আল-ইসতিসনার দ্বিতীয় দিনে অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। ৩ হাজার কোটি টাকার এই সুকুক পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছে বেক্সিমকো গ্রুপ।

গত বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে সুকুকের সর্বোচ্চ দর ওঠে ১১০ টাকা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই সুকুকের দিন শেষে দর দাঁড়ায় ১০১ টাকা।

তারপর সরকারি দুদিন ছুটির পর রোববার সপ্তাহের প্রথম লেনদেনেই দরপতনের ধাক্কা লাগে। এদিন মাত্র ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৪টি বন্ড লেনদেন হয়েছে।

রোববার সুকুকের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বনিম্ন ৯৫ টাকায় নামলেও পরবর্তী সময়ে লেনদেন শেষে ৯৮ টাকা ৫০ পয়সায় থেমেছে। ফলে আগের দিনের তুলনায় সুকুকটির দর কমেছে আড়াই টাকা। আর লেনদেনের দ্বিতীয় দিনেই অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে এসেছে পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্য আনা নতুন প্রডাক্ট এই সুকুক।

পুঁজিবাজারে বন্ড খাতের ১৫টি বন্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর মধ্যে দুটি বন্ডের দর বেড়েছে। কমেছে তিনটির। বাকি বন্ডগুলোর লেনদেন হয়নি।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, বিভিন্ন ফিচার নিয়ে এ ধরনের কনভার্টাবল বন্ড পুঁজিবাজারে একেবারেই নতুন। এ বন্ডের বিপরীতে শেয়ার নেয়া যাবে, শেয়ার নিতে না চাইলে মুনাফা নেয়ার নানা সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে আগে বন্ডে এমন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কোনো কিছু তালিকাভুক্ত হয়নি। ধারণা না থাকায় এ বন্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।

তিনি বলেন, আর এই বন্ডটি পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। তাদের একটি বেক্সিমকো সিনথেটিক নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও ভোগান্তিতে। জিএমজি এয়ারলাইনসের প্লেসমেন্টের শেয়ার বিক্রি করে এখনও অনেকের টাকা ফেরত দেয়নি এই গ্রুপ। ফলে এই গ্রুপের পুঁজিবাজারে নতুন প্রডাক্ট সুকুক বন্ডে তারা কতটা বিশ্বস্ততার প্রমাণ দেবে, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে বিনিয়োগকারীদের। যার ফলে আগ্রহ কম।

লেনদেনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সুকুকের মোট ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭৭২টি বন্ড হাতবদল হয়েছিল।

সুকুকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানও স্বীকার করেছিলেন, পুঁজিবাজারে এ ধরনের বন্ড নতুন হওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া গেছে।

পরবর্তী সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও সাড়া দিয়েছিলেন বলে জানান।

সুকুক বন্ডে কোনো সুদ নেই। এটি ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে মূলত বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়।

এসব প্রকল্পের মালিকানার অংশীদার হন সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীরা, অন্য বন্ডে এই সুযোগ নেই। সুকুক বন্ডের বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ওই প্রকল্পের সম্পদ বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার সুযোগ আছে।

সুদবিহীন সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশির ভাগ অংশই দুটি সৌরচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো লিমিটেড।

গত বছরের ১৬ আগস্ট সুকুকের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের কাছ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা জানিয়ে আইপিও আবেদন চাওয়া হয়। আবেদনের মেয়াদ ২৩ আগস্ট শেষ হলে দেখা যায় মাত্র ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার জন্য আবেদন জমা পড়ে।

এরপর ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ে কেবল একজন নতুন করে আবেদন করেছিলেন। এ অবস্থায় তৃতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয় মেয়াদ। সে সময় বিএসইসি বলেছিল, এই সময়ের মধ্যে সুকুকে আইপিও কোটা পূরণ না হলে তা বাতিল হবে।

এ অবস্থায় একই বছরের ২১ ডিসেম্বর সুকুকের লক্ষ্যমাত্রার ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন শেষ করে বেক্সিমকো লিমিটেড।

গত বছরের ২৩ জুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডকে সুকুকের বিপরীতে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন প্রদান করে।

এ বিভাগের আরো খবর