বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বল্প মূলধনি আবার চাঙা

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৭

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রোববার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়টির। আর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে চারটি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের আগের পুঁজিবাজারে স্বল্প ‍মূলধনি কোম্পানিগুলোর যে চাঙ্গাবস্থা ছিল সেটি চার মাসের ব্যবধানে আবারও হাতছানি দিচ্ছে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়টি। আর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে চারটি।

পুঁজিাবজারে মূলত ৩০ কোটি টাকার নীচে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সেসব কোম্পানিকে স্বল্পমূলধনি কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মূলত পুঁজিবাজারে স্বল্প পরিশোধিত মূলধন ও লোকসানি কোম্পানিগুলোকে মূল ব্যবসায় ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ভেঙে দেয়াসহ বোর্ডে নতুন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করে।

এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ আগে স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর প্রতি। এসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় বিএসইসির উদ্যোগের খবরে শেয়ার বিক্রেতা কম যায় এবং শেয়ার কেনার আগ্রহ বাড়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে দর।

যদিও সেপ্টেম্বরের পর স্বল্প মূলধনি এসব কোম্পানির উত্থান খুব বেশি নজরে আসেনি। তবে রোববার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির স্বল্পমূলধনি হওয়ায় আগ্রহের নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে এসব কোম্পানিকে।

রোববার লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহ যে মাত্রায় ছিল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। বিশেষ করে বেলা ১টা ২৫ মিনিটের পর শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান যেভাবে হয়েছিল শেষ দিকে সে গতি কমে আসে।

দিনে শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে। নতুন বছরের এখন পর্যন্ত ১১ দিন লেনদেন হয়েছে। বছরের শুরু হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্ট দিয়ে। সেখান থেকে অল্প অল্প করে সূচক বেড়ে ১১ জানুয়ারি ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে।

১২ জানুয়ারি আবারও সূচক ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে। সবশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। রোবাবর এই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।

এ ছাড়া শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।

রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেন শেষে সূচক ৭ হাজারে শেষ হয়েছে। এর আগের ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর টানা সাত হাজারে ছিল সূচক। এরপর ছয় হাজারে ছিল সূচক। এদিন লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।

লেনদেনে ১৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ১৫১টির। দর পাল্টায়নি ৪৫টির।

সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি

রোরবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরামিক খাতের আরএকে সিরামিকের ৯১০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩৪ শতাংশ।

এ ছাড়া, দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল জিপিএইচ ইস্পাতের ৫৫৩.৯৬ পয়েন্ট।

ইউনিক হোটেলের অবদান ছিল ৪৮১.৭৫ পয়েন্ট। স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর এদিন বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। এতে সূচক বাড়তে সহায়ক ছিল ৪৫১.৮৯ পয়েন্ট।

এ ছাড়া, এদিন সূচকে ওয়ালটন হাইকেট ইন্ডাস্ট্রিস, ফরচুন, লিন্ডা বিডি, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও এনভয় টেক্সটাইলের অবদান ছিল মোট ১৯১৪.৫২ পয়েন্ট।

রবি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকোফার্মা, স্কয়ালফার্মা, লাফার্জ হোলসিম, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, বার্জার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার দর কমায় সূচক পতনে ত্বরান্বিত করেছিল।

দর বৃ্দ্ধিতে ১০ কোম্পানি

রোববার দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি আছে যাদের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।

এর মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানি আজিজ পাইপ ও বিমা খাতের ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স রয়েছে। এদিন উভয় কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া, বিডি অটোসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৯ শতাংশ, যা পুঁজিবাজারে স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। ৯.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

৯.৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে এপেক্স ফুডের। এটিও পুঁজিবাজার স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। এ ছাড়া, ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে মতিন স্পিনিংয়ের। ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি শমরিতা হসপিটাল, রোববার যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।

এ ছাড়া ফাইন ফুড, স্কয়ার ফার্মা, ফু ওয়াং ফুড, ফারইস্ট লাইফ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। এরমধ্যে ফাইনফুড স্বল্পমূলধনি কোম্পানি।

দর পতনের ১০ কোম্পানি

রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ডেফোডিল কম্পিউটারের ৫.৯৭ শতাংশ। এদিন আরও একটি কোম্পানির শেয়ার দর ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বসুন্ধরা পেপার কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.১৭ শতাংশ।

টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর রোববার কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া, ইস্টার্ন ক্যাবল, রানার অটোমোবাইল, বিচ হ্যাচারি, লাভেলো, ফনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ডেসকোও ছিল এই তালিকায়।

২ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। এদিন কোম্পানির ২.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে। এ ছাড়া, মীর আক্তার হোসাইনের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৯ শতাংশ।

লেনদেনে সেরা ১০

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার দর পতনে এদিন কোম্পানির শেয়ার প্রতি হারিয়েছে ৪ টাকা। ফলে ১৪৯ টাকার শেয়ার নেমে এসেছে ১৪৫ টাকায়। রোববার কোম্পানির ৮৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৯টি শেয়ার।

এ ছাড়া, ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ১১ হাজার ৯৯টি।

আরএকে সিরামিকের ৭১ কোটি ৮০ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ ছাড়া জিপিএইচ ইস্পাতের ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৩২টি শেয়ার।

পেনিনসোলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার, লাভেলোর ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, তিতাস গ্যাসের ২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর