বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভ্যালি বোর্ডকে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা তোলার অনুমতি

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫১

পাশাপাশি ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কীভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তার একটি তালিকা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ডকে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের দুটি ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ইভ্যালির ২২টি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে অর্থ আদায় করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বোর্ডকে।

পাশাপাশি ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কীভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তার একটি তালিকা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ডের এক আবেদনে রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান, রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

পরে আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে যখন আমরা মামলাটি করি, তখন আদালত ইভ্যালির সব সম্পত্তি, টাকা-পয়সা যেকোনো ধরনের বিক্রি বা ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ জারি করল। ওই আদেশের পর ইভ্যালি-সংক্রান্ত সব ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকে।

‘এদিকে ইভ্যালি পরিচালনা বা অবসায়নের জন্য আদালত একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছে। সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে ওই বোর্ড তাদের নিয়মিত কাজকর্ম করতে পারছিল না। যে কারণে বোর্ড তাদের নিয়মিত কাজ পরিচালনার জন্য সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ইভ্যালির ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা তোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মাননীয় আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছে।’

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট।

বিচারপতি মানিক ছাড়াও বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

আদেশে বোর্ডের কাজ কী সেটিও বলে দেয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া) করবে। আর যদি চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেখানে একটি আবেদন ছিল ইভ্যালি অবসায়নে যাতে একটি কমিটি বা বোর্ড গঠন করে দেয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৮ অক্টোবর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর