চট্টগ্রামের পাহাড়বেষ্টিত অঞ্চল দেশের বোঝা নয় মন্তব্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, এ ভূখণ্ড হবে শান্ত ও সমৃদ্ধ।
রাজধানীর হোটেল আমারিতে রোববার ভোরের কাগজ ও আইসিএলডিএসের যৌথ উদ্যোগে ‘সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন: একুশ শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সফরে গিয়েছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া জনগণকে এগিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন।
‘সরকার এই অঞ্চলকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে শান্তিচুক্তি করা হয়েছিল।’
পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়টি বেশ জটিল, তবে এতটুকু বলতে পারি, এ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শান্তিচুক্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাতে তার অবস্থান পরিস্কার।
‘আমাদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বেশি বেশি প্রকল্প নিতে। আমরাও বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি। যখনই যে প্রকল্প আমাদের কাছে আসছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করিয়ে দিচ্ছি।’
পাহাড়ের উন্নয়নে ব্যয় নিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় হয়, মাথাপিছু হিসাবে দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এ উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ্যারোমা দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, আইসিএলডিএস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এম আসহাব উদদীন এনডিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ ও অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম।