বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজউকের সাবেক কর্মকর্তার স্ত্রীর জেল

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৯

নেকলেস ইসলামকে দেয়া দুই ধারার শাস্তি একত্রে চলবে বলে আদালত রায়ের আদেশে উল্লেখ করেছে। সে ক্ষেত্রে তাকে তিন বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দুর্নীতির মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক কর্মকর্তা তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী মোসা. নেকলেস ইসলাম পলিপকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় পড়ে শোনান।

রাজউকের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তাহমিদের স্ত্রী নেকলেসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পৃথক দুই ধারায় তার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে।

রায় ঘোষণা শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে নেকলেসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. ওবায়দুল।

দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় তাকে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

পাশাপাশি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে তাকে। এ ছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জন করা ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

এদিকে নেকলেস ইসলামকে দেয়া দুই ধারার শাস্তি একত্রে চলবে বলে আদালত রায়ের আদেশে উল্লেখ করেছে। সে ক্ষেত্রে তাকে তিন বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, নেকলেস ইসলাম একজন গৃহিণী। তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। তার স্বামী তাহমিদুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী ও ২০০২ সাল থেকে মামলা হওয়া পর্যন্ত রাজউকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নেকলেস ইসলাম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ দেয় দুদক।

নেকলেস ইসলাম ২৮ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ প্রদর্শন না করে গোপন করে, মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৭ হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনা থানায় মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর