দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়ে ৭ গুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোববার দুপুরে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘১৫ দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ ৭ গুণ বেড়েছে। এ বছরে প্রথম ১৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এসব একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। এ সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের। এটি যদি আগের ১৫ দিনের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে দেখব সংক্রমণ বেড়েছে ৭ গুণ।’
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ যদি সঠিকভাবে পালন করে, তাহলে দেশে যে নতুন ঢেউ আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে এটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব। আগে সেভাবে আমরা দ্বিতীয় ও প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে আতঙ্ক নয়, সতর্ক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি আমরা করোনা পরীক্ষা করে ফেরতে পারি, তাহলে রোগী নির্ণয় যেমন সহজ হবে, রোগী ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে।’
করোনা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করেছে কি না জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গোটা পৃথিবী ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। একটি জেলাকে বা বিশেষ করোনা এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে অন্যদের থেকে আলাদা করতে চাই না। একটি অতিমারি মোকাবিলার জন্য জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমাদের সংক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। অনেক স্থানে বিধিনিষেধ যাথাযথভাবে পালন হচ্ছে না। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খালা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আমার মনে করে যার যার জায়গা থেকে নাগরিক হিসেবে যে দায়িত্ব রয়েছে, সেটি যদি আমরা ভালোভাবে পালন করি, তাহলে অবশ্যই করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। দেশে অনেক কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। আমরা সেসব শিক্ষার্থীকেও টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে আনতে চাই। তাদের টিকা দিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’