যারা পান চিবান তাদের অনেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। আঙুলে চুনের প্রলেপের কারণে অনেক সময় সাড়া দিচ্ছে না ইভিএম। দেরি হচ্ছে ভোট গ্রহণ।
নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলে ভোট প্রদানে ধীর গতি দেখা যায় সকাল থেকেই। বুথটিতে অন্তত ২০ জনের ভোট প্রদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, একজন ভোটার ভোট দিতে সর্বনিম্ন দেড় মিনিট সময় নিচ্ছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট পর্যন্তও লাগছে।
ভোটসংশ্লিষ্ট একজন জানালেন, ইভিএমে অনভ্যস্ততার কারণে ভোট গ্রহণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। বেশি ভোগাচ্ছে যারা পান খান তারা। কেউ কেউ প্রথম দফায় ভোট দিতে না পেরে হাত ধুয়ে, আঙুলে ভেসলিন লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে এসে ভোট দিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুল ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কাশেম তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কীভাবে ভোট দিতে হবে তা বুঝতে পারছেন না অনেকে। কেউ ২ মিনিটে পারতেছে, কেউ ৫-১০ মিনিটও নিচ্ছে।
‘যারা পান খান, তাদের আঙুলে চুন মাখিয়ে পান খাওয়ার কারণে আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাদের বসিয়ে হাত পরিষ্কার করাচ্ছি, হাত ভেসলিন দিয়ে মুছে তারপর নিচ্ছি, এতে সময় বেশি লাগছে।’
ইভিএমে অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
নিউজবাংলাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবারই ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এর আগে এই এলাকার মানুষে ইভিএমে ভোট দেননি। অনেকেই কেন্দ্রে এসে শিখছেন ভোট দেয়ার পদ্ধতি শিখে নিচ্ছেন। তবে অনেকের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না। এটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কেন্দ্রে ভোটার দীর্ঘ লাইনে থেকে ভোট দিচ্ছেন।
সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ। তবে স্বীকার করেছেন, ইভিএমের সঙ্গে অনেকে পরিচিত না থাকায় কোথাও কোথাও ভোট দেরি হচ্ছে।
মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভোট স্লো হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্ক যারা আছেন, ইভিএমের সঙ্গে কম সম্পর্কিত যারা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে। মেজর কোনো প্রবলেম আমাদের নজরে পড়েনি।’