সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানির নতুন তারিখ দেন।
নাজমুল হুদা অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় চতুর্থ দফায় পেছাল তারিখ।
এ দিন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আইনজীবী আশহানুর রহমান অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে।
দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার নিউজবাংলাকে জানান, আসামি পক্ষের করা সময়ের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে। ফলে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পেছানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক। এরপর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে সে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে- এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে খারিজ করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলাটি খারিজ করতে দুই কোটি টাকা এবং আরও ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।
মিথ্যা অভিযোগ করায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, ‘নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।’