চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোসহ চার দাবিতে নীলক্ষেত মোড অবরোধ করলে পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ নামে চাকরিপ্রার্থীদের একটি সংগঠন রোববার বেলা ১১টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে। এ সময় নিউমার্কেট-আজিমপুর সড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পর নীলক্ষেতে অতিরিক্ত পুলিশসহ হাজির হন রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদ। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানান।
তবে অবরোধ তুলে না নিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের রাস্তা থেকে সরাতে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ।
এতে বেশ ১০ চাকরিপ্রার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া তাদের চার চাকরিপ্রার্থীকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করে।
লাঠিপেটা শুরু করলে চাকরিপ্রার্থীরা নীলক্ষেত মোড় থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পুলিশ সেখানে অল্প সময়ের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করে।
তবে লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু। তিনি বলেন, 'তাদের লাঠিপেটা করা হয়নি। বাঁশি দিয়েই তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখন আমার কাছে সঠিক তথ্য নেই।'
চাকরিপ্রার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করে নিয়োগ পরীক্ষার মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করা, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা এবং সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।