ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় স্বজনহারা শিশুদের সহায়তায় প্রকল্প শুরু হয়েছে।
বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাশে আছি পাশে থাকি’ নামের প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়।
স্পন্দন গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঐতিহ্যবাহী বরগুনা প্রেস ক্লাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান সিহাব। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন বরগুনা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএম মশিউর রহমান সিহাব জানান, প্রাথমিকভাবে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মা-বাবা হারানো অসহায় শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সহযোগিতায় পাশে থেকে সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। এসব শিশুর অনেকেই এখন ট্রমায় ভুগছে। পর্যায়ক্রমে ভুক্তভোগী পরিবারের সহযোগিতায় কাজ করবে প্রকল্পটি।
‘এখনও শিশুদের সংখ্যার তালিকা বের হয়নি, তবে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এ তালিকার জরিপ শুরু হবে।’
প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় বরগুনা প্রেস ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল, হাসানুর রহমান ঝন্টু, মনির হোসেন কামাল, জাকির হোসেন মিরাজ, বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, সিনিয়র সহসভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান ইমন, সহসাধারণ সম্পাদক মালেক মিঠু, অর্থসম্পাদক স্বপন দাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাউল ইসলাম টিটু, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিরাজ, রিয়াজ আহমেদ মুসা, শহিদুল ইসলাম স্বপ্ন, শাহ আলী, রুদ্র রুহান, অর্ণব শরিফ, নুরুল আহাদ অনিকসহ অনেকে।
প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়।
দগ্ধ বা আহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। একই সঙ্গে কত শিশু স্বজনহারা হয়েছে, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেনি কোনো সংস্থা।