বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার কবর জিয়ারত করে নগরীর শিশুবাগ বিদ্যালয়ে নিজের ভোট দিতে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কেন্দ্রটিতে উপস্থিত হন তিনি। এবার জয় পেলে টানা তৃতীয়বার নারায়ণগঞ্জের মেয়র হবেন আইভী।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আইভীর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার।
ভোট দিয়ে তৈমূর লক্ষাধিক ভোটে জয় পাবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে, তবে ভোটগ্রহণ শেষে বলা যাবে পরিবেশ কেমন ছিল। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিতব।’
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সব কটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে।
গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট দিতে যাওয়ার আগে বাবার কবর জিয়ারত করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: নিউজবাংলাতারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩২ জন প্রার্থী।
সিটি এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটারসংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার এবং ৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন।
মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ ভোটার রয়েছেন এই বন্দরনগরীতে। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬। আর নারী ভোটার আছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।