বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরাপত্তা চেয়ে থানা থেকে বের হয়ে হামলার শিকার

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০৭:৫৮

আহতদের দাবি, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল আমিনের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ এলাকার মনির, তাজু, রিয়াজ, নোমান, আজিম, রনিসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে এ হামলা চালিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের সমতা সিনেমা হলের সামনে শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জিকু।

আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন।

নিউজবাংলাকে রোববার সকালে তিনি জানান, ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত বাবলুর বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে এবং জিকুর পাঁচপাড়া গ্রামে।

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আহতদের।

তাদের দাবি, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল আমিনের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ এলাকার মনির, তাজু, রিয়াজ, নোমান, আজিম ও রনিসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে এ হামলা চালিয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর উপনির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আহতরা জানান, নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইনুল আহম্মেদ তানভীর পরাজিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলুকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে শনিবার রাতে তারা চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করতে যান।

থানা থেকে বের হয়ে রাত ১০টার দিকে বাবলু এবং জিকু মোটরসাইকেলে করে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের দিকে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাবলুর মাথা এবং জিকুর চোখ ও মাথায় আঘাত পান।

এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার লোকজন জড়িত নয়।’

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ঘটনার দায় তার ওপর চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, ‘থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তারা হামলার শিকার হয়েছে বলে জেনেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর