বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে উৎসবের ভোট শুরু

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০৭:৫৩

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগর পাবে নতুন মেয়র। সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগর পাবে নতুন মেয়র।

গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

তবে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সব আলোচনা সীমাবদ্ধ দুই প্রার্থীর মধ্যে। তারা হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

সুখে-দুঃখে যাকে কাছে পাবেন তাকেই বিজয় উপহার দিতে চান নগরবাসী। শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরাও ছুটে গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছে টানার চেষ্টা করেছেন আইভী ও তৈমূর।

নিজের চলমান উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া, বন্দর আর শহরকে সংযোগ করতে কদম রসুল সেতু নির্মাণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ নানা আশ্বাসে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বিপরীতে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো, হকারদের পুনর্বাসন, জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।

নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে এসব প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটারদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ইশতেহার তুলে ধরেননি কোনো প্রার্থী। এ নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ নগরবাসী। কারণ সুনিশ্চিত উন্নয়ন পরিকল্পনা পাননি তারা।

এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩২ জন প্রার্থী।

সিটি এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার এবং ৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন।

মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ ভোটার রয়েছেন এই বন্দরনগরীতে। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬। আর নারী ভোটার আছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।

এই নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯২। সব কটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। ভোটের আগের দিনই প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে বহিরাগতদের উৎপাত বন্ধ করে ভোটের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নগরীতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম আগের দিনই বলে দিয়েছেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। কালকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন, দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’

যেকোনো ধরনের সহিংসতা রোধে ও ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে সে জন্য পুলিশের ২৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৬৪ মোবাইল টিম মাঠে থাকছে।

তিনটি এলাকা মিলিয়ে ১৪ প্লাটুন বিজিবিসহ র‌্যাবের তিনটি স্ট্র্যাইকিং ফোর্স, ছয়টি চেকপোস্ট, সাতটি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ করলে সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রশাসনও মাঠে কাজ করছে।

এ বিভাগের আরো খবর