ঢাকার সাভারে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজধানীর গাবতলীগামী একটি দূরপাল্লার বাসে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
বাসের চালক ও সহকারীর দাবি, অস্ত্রের মুখে ১৫ যাত্রী ও বাসের তিন স্টাফের হাত-পা বেঁধে মারধর করে লুটপাট চালায় ডাকাত দল। অভিযোগ উঠেছে, মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
সাভারের গেন্ডায় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব জানান বাসের চালক মো. পাভেল ও সুপারভাইজার শহীদুল আলম।
সুপারভাইজার শহীদুল আলম বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বগুড়া ঠনঠনিয়া পোস্ট টার্মিনাল থেকে ৩৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকার গাবতলীর উদ্দেশে যাত্রা করি। আসন ফাঁকা থাকায় কেউ নামলেই সেখান থেকে যাত্রী উঠাচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সাতজন যাত্রী ওঠেন। এরপর গাজীপুরের চন্দ্রায় কিছু লোক নেমে যান। রাত ১১টার দিকে গেন্ডায় দুই যাত্রীকে নামিয়ে দরজা বন্ধ করে দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস স্টার্ট নেয়ার সময় চালকের পিছনের ছিটে বসা একজন এবং পাশে থাকা দুইজন চালককে টেনে সিট থেকে ফেলে দেন। তাদের একজন বাস চালাতে থাকেন। তখন অন্য দুইজন চালককে পেটানো শুরু করেন। বাসের আরও দুই যাত্রী তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাকেসহ দুই স্টাফকে বেঁধে ফেলেন।
‘এরপর বাস ঘুরিয়ে আবার টাঙ্গাইলের দিকে যাত্রা করে তারা। এই ফাঁকে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। গোড়াই এলাকায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আরেকটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে, পালিয়ে যায় ডাকাতদল।’
বাসের চালক পাভেল বলেন, ‘যখন এক্সিডেন্ট হয় তখন ভোর সাড়ে ৪টার মতো বাজে। এর আগেই বাসের ক্যাশ ১৩ হাজার টাকা ও আমাদের স্টাফদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে তারা।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে মির্জাপুর থানায় গেলে, তারা জানায় মামলা সাভার থানায় হবে। আর সাভার থানা পুলিশ বলছে, মামলা হবে মির্জাপুরে।’
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাভার থেকে ডাকাতি শুরু। ঘটনাস্থল একবারে পরিষ্কার। মামলা ওখানেই হবে। সাভার থানা যদি বলে থাকে এখানে (মির্জাপুর) মামলা হবে তাহলে তারা ভিত্তিহীন কথা বলছেন।’
সাভার থানায় যোগাযোগ করা হলে, পরে কথা হবে জানিয়ে ফোন রেখে দেন পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম। এরপর একাধিকবার ফোন ও এসএমএস পাঠালেও, সাড়া মেলেনি।