বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগের দিন ‘ঘর গোছাতে’ ব্যস্ত আইভী

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:২৭

শেষ দিনের প্রচারে অংশ নিয়ে আইভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। ইতিহাস-ঐতিহ্যের এই নারায়ণগঞ্জকে কালক্রমে কলঙ্কিত করা হয়েছে, দূষিত করা হয়েছে, বিষাক্ত করা হয়েছে। সেই পরিবেশ বদলাতেই নৌকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

ভোটের আগের দিন একেবারে আড়াল বেছে নেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

দিনরাত ব্যস্ত ছিলেন নিজ বাড়িতেই। নির্বাচনি দায়িত্ব বণ্টন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কেটেছে তার সময়। একবারের জন্যও তিনি বাড়ির বাইরে বের হননি। কথা বলেননি গণমাধ্যমে। শেষ মূহূর্তে বাড়িতে বসে এজেন্টদের নির্দেশনা দেয়ার কাজে মনোযোগী ছিলেন তিনি।

নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার শনিবার দুপুরে ও সন্ধ্যা মিলিয়ে দুটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেলিনা হায়াৎ আইভী সে রকম কিছু করেননি। এমনকি সাংবাদিকদের শত চেষ্টাতেও তিনি সাড়া দেননি।

শনিবার দুপুরের দিকে গণমাধ্যমকর্মীরা নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ তার নিজ বাড়িতে ভিড় করলেও, দেখা করতে রাজি হননি আওয়ামী লীগ মনোনীত আইভী। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের ফোনও ধরেননি। শেষ বিকেলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট আদিনাথ বসু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাদিন দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন।’

সেলিনা হায়াৎ আইভী সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর দেওভোগের শিশুবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভোট দেবেন। আইভীর প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

নারায়ণগঞ্জে আইভীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দীপু বলেন, ‘টানা ১৭ দিনের প্রচার শেষে তিনি (আইভী) সারাদিন বাসায় ছিলেন। বিশ্রাম নিয়েছেন।’

বিশ্রাম নিতে চাইলেও সেটাও সেভাবে নিতে পারেননি আইভী। আনিসুর রহমান দীপু বলেন, ‘আগামীকাল সকালে যেহেতু ভোট, তাই এজেন্টদের নানা দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি (আইভী)।’

রোববার সকালে একেবারে ভোটের মাঠেই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তার দেখা ও কথা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

ভোটের প্রচারে নৌকার প্রার্থী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: নিউজবাংলা

২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উড়িয়ে দিয়ে জয় পাওয়া এই তেজস্বী নারী এবার টানা তৃতীয় জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।

শেষ দিনের প্রচারে অংশ নিয়ে আইভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। ইতিহাস-ঐতিহ্যের এই নারায়ণগঞ্জকে কালক্রমে কলঙ্কিত করা হয়েছে, দূষিত করা হয়েছে, বিষাক্ত করা হয়েছে। সেই পরিবেশ বদলাতেই নৌকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

নারায়ণগঞ্জকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি উল্লেখ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকাকে রুখে দেয়ার ক্ষমতা এ অঞ্চলে কারও নেই।’

২০১১ সালে আইভীর সঙ্গে লড়াই হয়েছিল নিজ দলের নেতা শামীম ওসমানের। লক্ষাধিক ভোট জিতে আইভী প্রমাণ রাখেন রাজনীতি করতে নিউজিল্যান্ড থেকে তার ফেরাটা ভুল ছিল না।

সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল তৈমূর আলম খন্দকারকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তৈমূর প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ান দৃশ্যত বড় ধরনের কোনো অভিযোগ না তুলেই।

সেই তৈমূর এবার আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে বিএনপির নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন তিনি। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও রাজধানী-লাগোয়া জনপদটিতে ভোটে লড়াইয়ের আমেজ আওয়ামী লীগ-বিএনপি ঘিরেই।

শেষ দিনের প্রচারে আইভী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এবং পরে দুই মেয়াদের সিটি মেয়র হিসেবে তার করা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আরও পাঁচ বছরের জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর ‘খেদমত’ করার সুযোগ চান।

তিনি বলেন, ‘পুনরায় আপনারা পাঁচ বছরের জন্য খেদমত করার সুযোগ দিন। আমি বাবার মতো আপনাদের খেদমত করতে জীবনকে বাজি রেখেছি। যেকোনো সময় আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটতে পারে। আমি আপনাদের জন্য মৃত্যুকেও বরণ করে নিতে রাজি আছি।’

নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে আইভী বলেন, ‘নিজের ঘর-সংসারের দিকে তাকাইনি। এসেছি আপনাদের সেবা করতে। নিশ্চয় আপনারা আমাকে বিমুখ করবেন না।’

তার আমলে নারায়ণগঞ্জের আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে নৌকা মার্কার প্রার্থী বলেন, ‘নিশ্চয় এই ধারাবাহিকতা আপনারা বজায় রাখবেন। নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ার জন্য, শিশুবান্ধব নগরী গড়ার জন্য, শীতলক্ষ্যা ব্রিজ করার জন্য, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার জন্য নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ভোট দেবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর