রাত পোহালেই টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে ভোট।
ইভিএমে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
এ নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টানা চারবার আয়ত্বে থাকা আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি মাঠে না থাকায় জাতীয় পার্টি আসনটি দখলে নিতে মাঠে সবর রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থীর তৎপরতায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। ভোটাররা জানান, মূল লড়াই হবে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাপার সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম (মোটরযান)।
ঢাকার সিএমএইচে ১৬ নভেম্বর দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এর আগে আসনটি বিএনপি চারবার এবং জাতীয় পার্টির দখলে ছিল দুবার। অনেক বছর ধরে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব থাকায় দলের ভোট ব্যাংক এখন বিশাল।
গত ২০ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে ঋণের জামিনদার হওয়ায় খান আহমেদ শুভর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। শুভ পরদিন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। ২৬ ডিসেম্বর শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের মাঠে নেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। তবে যেসব দল ও প্রার্থী উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান ও সাংগঠনিক সক্ষমতা বিবেচনায় আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে আছেন। তার পরও চমক দেখাতে মাঠে তৎপর আছেন জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম জহির।
ভোটাররা জানান, আসনটি ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শুভ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ আসনে তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক এমপি ছিলেন।
এদিকে জাতীয় পার্টি আসনটি পুনরুদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ভোটের মাঠে বিএনপি না থাকায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে শক্ত প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শুভ বলেন, ‘উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নৌকার প্রচারে অংশ নিয়েছেন। আসনটি নৌকারই থাকবে।’
জাতীয় পার্টির জহিরুল বলেন, ‘সাধারণ ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন। নির্বাচনি প্রচারে নেমে সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভোট সুষ্ঠু হলে আমিই জয়ী হব।’
নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্য প্রার্থীরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, ‘এ আসনে ১২১টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে পারব।’
আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন।