ভ্যানে চেপে গরু কিনতে কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া পশু হাটে যাচ্ছিলেন তিন কসাই। কিন্তু ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন তাদের একজন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন ভ্যানচালকও।
অপর দুই কসাই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। হতাহত সবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজার এলাকায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বাজারের দোকানী জসিম উদ্দিন জানান, আলমডাঙ্গার দিক থেকে পকেট রাস্তা থেকে কসাইদের বহনকারী ভ্যানটি বিত্তিপাড়া বাজারের মহাসড়কে ওঠে। এ সময় ঝিনাইদহের দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন দিক থেকে ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের সামনের দিকে ভেতরে ঢুকে আটকে গেলে এভাবেই কিছুদূর টেনে নিয়ে যায় ট্রাকটি।
দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ভ্যানটি এভাবেই ট্রাকের সামনের দিকে ভেতরে ঢুকে আটকে যায়
চোড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি ইদ্রিস আলী জানান, ঘটনাস্থলেই ৪৫ বছরের ছলেমান শেখ কসাই মারা যান। আর গুরুতর আহত ভ্যানচালক ও বাকি দুই কসাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে যাওয়ার পথে ভ্যানচালক উসমান আলী ভাদালিয়া নামক স্থানে মারা যান।
গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম ভেজা ও কামাল আলী বর্তমানে ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ভেজার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দুটি মরদেহ পর্যবেক্ষণ করার পর চিকিৎসকরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ট্রাকসহ এর চালককেও।
বাজারের দোকানি জসিম আরও জানান, গরু কেনার জন্য বালিয়াপাড়া পশু হাটে যাচ্ছিলেন ওই কসাইরা। তাদের কাছে অনেক টাকা ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। এর মধ্যে বিত্তিপাড়া বাজার কমিটি ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এ নিয়ে ওই এলাকায় গত ৬ দিনে ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।