সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন সদস্য প্রার্থী মুকুল হোসেন।
মামলায় বলা হয়, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে ভোট হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণনা শেষে বলা হয়, দুই হাজার ৪৭৬ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৯৪৩ জন ভোট দেন। এর মধ্যে ফুটবল প্রতীকে মুকুল হোসেন পান ৯৯৮ ভোট আর মোরগ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম পান ৯৩৬ ভোট। ফল ঘোষণার আগেই সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুকুল হোসেনের কর্মী সমর্থকের ওপর হামলা চালান।
ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখে প্রিসাইডিং অফিসার ফল ঘোষণা না করেই ভোটের সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরের দিন দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মোরগ প্রতীকের ৯৭৩ ভোট ও ফুটবল প্রতীকের ৯৬১ ভোট দেখিয়ে ১২ ভোটে সাইফুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মুকুল হোসেন বলেন, ‘আমাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে তাৎক্ষণিক মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা আমলে নেননি।
‘আমার ওয়ার্ডে ভোট পুনরায় গণনার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, এই ইউনিয়নের রিটার্নি অফিসারের দায়িত্বে থাকা ইলিয়াস হাসান শেখ, প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুর রহমান ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৫ জনকে বিবাদী করে ১১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা করি।’
সিরাজগঞ্জ জজ কোটের আইনজীবি আবু বাশার মো: মাসুম রেজা বলেন, ‘মুকুল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।’
রিটার্নিং অফিসার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমরা সঠিক নিয়ম মেনেই ফল ঘোষণা করছি। এখন কেউ যদি মামলা করেন তাহলে তো কিছু করার নেই। আদালতে যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে।’
মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার সঠিক ফল ঘোষণা করেছেন। সেই ফলে আমি বিজয়ী হয়েছি। ওরা পরাজিত হয়ে আমাদের ওপর বারবার হামলা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি বরং তারাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আর তারা যে সব নিরীহ লোকজনকে মারধর করেছে তারাই বাদী হয়ে মামলা করেছে।’
সিরাজগঞ্জ কোর্টের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১১ জানুয়ারি বেলকুচি আমলি আদালতে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি হতে পারে।