বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোববার থেকে রাজধানীমুখী হবে না ময়মনসিংহের বাস

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪১

জেলা মোটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত যান চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কোনো বাস রোববার থেকে রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না।’

ময়মনসিংহ থেকে রাজধানীমুখী সব গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা এসেছে।

শনিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে এ ঘোষণা দিয়েছে জেলা মোটর মালিক সমিতি।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত যান চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কোনো বাস রোববার থেকে রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। তবে গাজীপুর থেকে রাজধানীর মহাখালী যেতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা। এতে সাধারণ যাত্রীসহ চালকদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

‘ধীরগতির চলমান কাজে দুর্ভোগের পাশাপাশি পরিবহন মালিকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে বারবার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’

ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে গাড়ি চলবে কি না- এই প্রশ্নে তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

গত ২ জানুয়ারি দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মোটর মালিক সমিতির নেতারা।

এ সময় জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে দৈনিক ১০ হাজারের মতো গণপরিবহন চলাচল করছে। প্রতিদিন গাড়ির তেল বাবদ নষ্ট হচ্ছে দেড় কোটি টাকা। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) গণপরিবহন যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে।’

এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি এবং ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম বলেন, ‘শুধু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোকজনকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার ওপর যত্রতত্র ট্রাক চাই না। প্রতিদিন সব মিলিয়ে ২ কোটি টাকার মতো নষ্ট হচ্ছে।

‘কিন্তু ১০ কোটি টাকা একসঙ্গে খরচ করলেই রাস্তাটা চলাচলের উপযোগী হয়। তিন বছর মেয়াদি রাস্তা ছয় বছরেও কাজ শেষ না হওয়া হতাশা ছাড়া কিছুই নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছরের শেষের দিকে রাস্তার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু যেভাবে কাজ চলছে, আগামী তিন বছরেও মনে হয় না শেষ করতে পারবে। কারণ ছয় বছরে কাজের উন্নতি হয়েছে ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।

‘২ হাজার ৩৭ কোটি টাকার কাজ এখন ৪ হাজার ২০০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই।’

এ সময় সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা, জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি অধ্যাপক শ্যামল দত্ত, কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর