ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাত বিদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী শনিবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
সাত আসামি হলেন ওডেজে ওবিন্না রিবেন, নটোম্বিকনা, ইফুইন্নয়া ভিভান, সানডে ইজিম, চিনেডু নিয়াজি, কোলিমন্স তালিকে ও চিঢিম্মা ইলোফোর। এদের মধ্যে ছয়জন নাইজেরিয়ান ও একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শনিবার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করেন। মামলার বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাতজনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এ সময় সাত বিদেশি নাগরিকের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাত বিদেশির প্রত্যেককে এক দিনের রিমান্ড দেয় মহানগর হাকিম আদালত। একই মামলায় গ্রেপ্তার নাহিদুল ইসলাম ও সোনিয়া আক্তারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুদিনের রিমান্ড দেয়া হয়। এই দুজনকে রোববার আদালতে হাজির করা হবে।
অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আটটি পাসপোর্ট, ৩১টি মোবাইল, তিনটি ল্যাপটপ, একটি চেক বই ও লক্ষাধিক টাকা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন। ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তারা নানা কৌশলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এই নয়জন আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য বলে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে।