বরগুনার পাথরঘাটায় ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় জাপটে ধরে এক ডাকাতকে আটক করেছেন গৃহকর্তা রাসেল ও সোহেল।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের এক বাড়িতে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
সুজন নামে আটক ওই ডাকাতকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় গৃহকর্তা সোহেল ও রাসেল ছাড়াও পরিবারের আরও দুই নারী সদস্য আহত হন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহকর্তা রাসেল জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে দরজা ভেঙে ৬/৭ জনের ডাকাতদলটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। পরে তারা ওই ঘরের বাসিন্দা সোহেল, রাসেল, স্বর্না ও রুমিকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোন ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়।
ডাকাতি করে ফেরার সময় সোহেল ও রাসেল তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা সোহেলের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ঘরের সবাই চিৎকার শুরু করে এবং রাসেল এক ডাকাতকে জাপটে ধরে ফেলে। বাকীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক ওই ডাকাতকে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে রাসেল ও সোহেলকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার জানান, আটক ডাকাতের নাম সুজন। তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এলাকার মোজাম্মেল মুন্সির ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে একই এলাকার রুহুল ও মিজান নামে ঘটনায় জড়িত আরও দুই ডাকাতের তথ্য দিয়েছেন সুজন।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে রাসেল বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় সুজন, রুহুল মিজানসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় সুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।