ন্যায়বিচারে বাধা তৈরি করতে সরকার অশুভ চক্রান্তের পথে হাঁটা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভিসা বাতিল ও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর শেখ হাসিনা সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ ও আলামত ধ্বংস শুরু করেছে। ন্যায়বিচারে বাধা তৈরি করতে তার সরকার অশুভ চক্রান্তের পথে হাঁটা শুরু করেছে।’
রিজভী অভিযোগ তুলে বলেন, ’পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নেতাদের গুম করছে। গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ফরমায়েশি বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছে।
‘গুমের সাক্ষ্য এবং আলামত ধ্বংসের এ ধরনের বেআইনি পদক্ষেপ সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ততা প্রতিষ্ঠিত করছে। একই সঙ্গে এসব পদক্ষেপ সরকারকে নতুন অপরাধেও সম্পৃক্ত করছে।’
সরকারের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গুম-খুনের এই সরকার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা লাভ করবে। গণতন্ত্রের সংকট সৃষ্টির পর গুম-খুনের বিষাক্ত ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। বিএনপি এ ধরনের বেআইনি ও অশুভ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এসব অপচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার ভোট ডাকাতি, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ইতিহাসের কাঠগড়ায় নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্টদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের গুম-খুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার তা তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিয়েছে।’
সাবেক এই ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘বিএনপি এই অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্রুত পদত্যাগ চায়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চায়। খুন, গুমসহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পথকে নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি।