বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হত্যার পর’ মরদেহ নিয়ে যেতে বলল স্বামী

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৭

বাড়ির মালিক গুলবাহার বেগম বলেন, ‘‘রুমে তালা দেয়া ছিল। টর্চলাইট জ্বালিয়ে বোনকে বিছানায় নিথর পড়ে থাকতে দেখেন ভাই। আসাদুল তার স্ত্রীর ভাইকে ফোন করে বলেছে, ‘তোর বোনকে মেরে রাখছি। আইসা লাশ নিয়া যা।’’

আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তাজউদ্দীন সরকারের মালিকানাধীন টিনশেডের বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বজনরা বলছেন, হত্যার পর ফোন করে মরদেহ নিয়ে যেতে বলেছিল স্বামী আসাদুল।

নিহত বৃষ্টি আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানার বাঁশকাটি গ্রামের মেয়ে।

আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার টেক্সটাউন নামের একটি পোশাক কারখানায় স্বামীর সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।

বাড়ির মালিক গুলবাহার বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয় তারা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মেয়ের ভাই গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে আমাদের এলাকায় আসেন। বাসায় বাসায় বোন ও তার স্বামীর ছবি দেখিয়ে খোঁজ করছিলেন। আমার বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়ার কাছে এলে সে রুম দেখিয়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘‘রুমে তালা দেয়া ছিল। টর্চলাইট জ্বালিয়ে বোনকে বিছানায় নিথর পড়ে থাকতে দেখেন ভাই। আসাদুল তার স্ত্রীর ভাইকে ফোন করে বলেছে, ‘তোর বোনকে মেরে রাখছি। আইসা লাশ নিয়া যা।’’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আসাদুল তার তার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতের গলায়, পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বিছানায় লুঙ্গি দিয়ে ঢেকে রেখে কক্ষ তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পারিবারিক কলহ থেকেই শুক্রবার কোনো একসময় এই হত্যা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত আসাদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর