বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এ বছরের মধ্যেই

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪১

চট্টগ্রামের আইনজীবীদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা সুখবর দেই। সেটা হচ্ছে নতুন প্রধান বিচারপতি যিনি হয়েছেন, আমি তার সঙ্গে এই সার্কিট বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে আলাপ করেছি। তিনি এটা বিবেচনায় নিয়েছেন। আমার মনে হয়, এই বছর শেষ হওয়ার আগেই আমরা চট্টগ্রামে একটা সার্কিট বেঞ্চ দেখব।’

বিচারপ্রার্থীদের জন্য চট্টগ্রামে চলতি বছরের মধ্যেই হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত আইনজীবী মিলন মেলায় শনিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা সুখবর দেই। সেটা হচ্ছে নতুন প্রধান বিচারপতি যিনি হয়েছেন, আমি তার সঙ্গে এই সার্কিট বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে আলাপ করেছি। তিনি এটা বিবেচনায় নিয়েছেন। আমার মনে হয়, এই বছর শেষ হওয়ার আগেই আমরা চট্টগ্রামে একটা সার্কিট বেঞ্চ দেখব।

‘সার্কিট বেঞ্চ হবে। সে বিষয়ে আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এটা চান। এ ব্যাপারে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা একটা ঘোষণা দিব।’

২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন।

সার্কিট বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে আজ চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফের দাবি করা হলে আইনমন্ত্রী সেটি স্থাপনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মিলনমেলার প্রশংসা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বারের পর সব থেকে বড় বার হচ্ছে চট্টগ্রাম বার। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে আপনারা যে মিলনমেলার আয়োজন করেন, সেটা কিন্তু দেশের সকল বারই ফলো করে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইন পেশা ও আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ জন্মের আগে যত আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর যত প্রচেষ্টা ছিল, তৎকালীন সারা দেশের আইনজীবীরা বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে, সবগুলোতে আইনজীবীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।’

আনিসুল হক বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন কিন্তু অপরাধ করলে তাকে সাজা ভোগ করতেই হবে। অপরাধ করে এখন আর পার পাওয়া যাবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার।

এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮২ সালের ১১ মে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের একটি স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা হয়। পরে ১৯৮৬ সালের ১৭ জুন সামরিক ফরমানের ৪ (এ) ধারা সংশোধন করে স্থায়ী বেঞ্চকে সার্কিট বেঞ্চ (অস্থায়ী) করা হয়।

১৯৮৬ সালে সংবিধান পুনরুজ্জীবনের পর সংবিধানের অনুচ্ছেদ-১০০ অনুসারে সার্কিট বেঞ্চের বিধান থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের ছয়টি সার্কিট বেঞ্চ বহাল থেকে যায়। এরপর ঢাকার আইনজীবীদের একাংশ সার্কিট বেঞ্চ ফিরিয়ে নেয়ার আন্দোলন করলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ২(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, ছয়টি সার্কিট বেঞ্চকে আবার স্থায়ী বেঞ্চের মর্যাদা দেয়া হয়।

এরপর ১৯৮৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ সংক্রান্ত অষ্টম সংশোধনীর ২ (ক) অনুচ্ছেদটি বাতিলের আদেশ দিলে চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেটের হাইকোর্ট বেঞ্চগুলো ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়া হয়।

আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত নিউজবাংলাকে বলেন, চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ গঠনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদে বলা আছে বাংলাদেশে একটা সুপ্রিম কোর্ট থাকবে, তার অধীনে হাইকোর্ট বেঞ্চ থাকবে, তবে প্রয়োজনে তার সুবিধামতো স্থানে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করতে পারবে।

‘এই সুবিধা অনুযায়ী হয়তো চট্টগ্রামে একটা সার্কিট বেঞ্চ হবে। হয়তো বলা হবে চট্টগ্রামের মামলাগুলো চট্টগ্রামেই ফাইল করার জন্য, তবে এই বেঞ্চ হয়তো সব সময় বসবে না। সার্কিট বেঞ্চ সময় সময় বসবে।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেব যেটা করেছিলেন সেটা ছিল স্থায়ী বেঞ্চ, যেটা সংবিধানবিরোধী।’

এ বিভাগের আরো খবর