বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন উদাহরণ তৈরি করবে: কৃষিমন্ত্রী

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩৭

মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার হচ্ছে বাংলাদেশে নাকি মানুষকে হত্যা করা হয় বিনা বিচারে। কোনো মানুষকে হত্যা করা হয় না। বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয় না।’

নিরপেক্ষ ভোট হওয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, আব্দুল মান্নান ও বদিউজ্জামান বাদশার স্মরণে শনিবার দুপুরে সভায় তিনি এ আশার কথা জানান।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্মরণসভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন। আমি আশা করি নির্বাচনটি নিরেপক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে। এর মাধ্যমে এটি জাতীয় ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করবে।

‘সরকার সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দিচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার হচ্ছে বাংলাদেশে নাকি মানুষকে হত্যা করা হয় বিনা বিচারে। কোনো মানুষকে হত্যা করা হয় না। বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয় না।’

নিজ নির্বাচনি এলাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি টাঙ্গাইলের কথা বলি। সেখানে গত ১৩ বছরে কোনো বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

‘যারা বাড়িঘর পুড়িয়েছে, মানুষকে পুড়িয়ে দগ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এটিকে নানাভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। মিথ্যাচার করে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, যাতে এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার আসে।’

মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করে। আমাদের মতো এত বড় মিডিয়া পৃথিবীর কয়টি দেশে রয়েছে? এত পত্রিকা কয়টি দেশে আছে?’

কৃষিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। কোনো অসম শক্তি এলে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। সেখানে আপনাদের সহযোগিতা চাই।

‘আগে সব আন্দোলনে কৃষিবিদরা অংশ নিয়েছেন, সামনের সারিতে থেকেছেন। আগামী দিনেও আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’

প্রয়াত তিন কৃষিবিদের স্মরণে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সংগ্রাম-আন্দোলনের সিঁড়ি পেরিয়ে জাতীয় নেতৃত্বে জায়গা করে নিয়েছেন। দেশ গড়তে তাদের ভূমিকা অনেক। কৃষিবিদদের বঙ্গবন্ধু প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। কৃষিবিদরা আজ যেভাবে অবদান রাখছেন, এটা জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত।

'বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আগেই বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের কথা বলেছিলেন। স্বাধীনতার পর প্রথম সমাবেশে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষির উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।'

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘তিন কৃষিবিদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনজনই পরিশ্রমী ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তারা দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কৃষিতে জোর দিয়েছিলেন। কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করে গিয়েছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনাও কৃষি খাতে জোর দিয়েছেন। এ জন্য এই খাতে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

এ বিভাগের আরো খবর