গণপরিবহনের চালক-শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। এ জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা প্রস্তুত হলেই টার্মিনালগুলোতে চালক-শ্রমিকদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
শনিবার সকালে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পরিবহন নেতাদের দাবি ছিল চালক-শ্রমিকদের যেন জরুরি ভিত্তিতে টার্মিনালগুলোতে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সে লক্ষ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
‘তালিকা করার জন্য বলেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় একদিনের মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এটা শেষ হলে টিকা দেয়া শুরু হবে।’
করোনা ঠেকাতে সরকার নতুন করে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করে গত বৃহস্পতিবার। সে লক্ষে বুধবার পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছে বিআরটিএ।
সভায় পরিবহন নেতারা জানান, চালক-শ্রমিকদের প্রায় ৮০ ভাগ টিকার আওতায় আসেনি। প্রতিটি টার্মিনালে বুথ স্থাপন করে পরিবহন শ্রমিকদের দ্রুত সময়ে টিকা দেয়ার দাবি জানান তারা।
সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে চালক-শ্রমিকদের তালিকা করা হচ্ছে। টার্মিনালেই তাদের টিকা দেয়া হবে।’
সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের টিকা নিশ্চিতে গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করে। এ ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দিতেও শুরু করেছে সরকার। চলতি মাসে চার কোটি টিকাদান করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।