নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে যুদ্ধের ময়দান আখ্যা দিয়ে সব প্রতিকূলতা কাটিয়েই ভোটে থাকার কথা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর মিনপাড়া এলাকায় এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তৈমূর আলম বলেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে আছি, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করব, যা আছে কপালে তা-ই হবে। এবারের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রকেই আমি ঝুঁকি মনে করি না। নগরীর বাসিন্দাদের ওপর আমার আস্থা রয়েছে বলেই কোনো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখি না।’
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করা সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপক্ষে মেয়র পদে লড়ছেন। নির্বাচনি প্রচার শেষ হয়েছে শুক্রবার। আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জে ভোট।
নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কা করে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিষয়টির কথা বলতে গিয়ে তৈমূর বলেন, ‘আমি ঝুঁকি হিসেবে পুলিশ, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকেই মনে করি। তারা নিরপেক্ষ থাকলে কোনো কিছুই ঝুঁকিপূর্ণ না।’
কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করেছে আমাদের পেটানোর জন্য। কিন্তু এটা তো নিরপেক্ষ হলো না।’
তৈমূর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এক সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে চ্যানেল আইকে বলেছেন, আমরা ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছি বলেই ডিসি ও এসপিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে গিয়েছি। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমি। আমার ছোট ভাই ১৮ বছর ধরে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ১২ নম্বর ওয়ার্ড হলো সরকারি দলের এমপির ওয়ার্ড। এখন তারা নিজ দলের এমপিদের ওয়ার্ডকেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। তাদের মধ্যে কি পরিমাণ বিরোধ রয়েছে, এখন এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।’
জনস্রোত ও জোয়ার তার পক্ষে আছে বলেই তিনি বাইরে থেকে কোনো ‘মেহমান’ নিয়ে যাননি বলে জানান। বলেন, ‘আমার ঘরের মধ্যেই অনেক লোক আছে।’