বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাসড়কে বরিশাল সিটির পার্ক নিয়ে ক্ষোভ

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৪১

স্থানীয়রা বলছেন, পার্কটি নির্মাণ করা হলে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত প্রক্রিয়া নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত হবে। বন্ধ করে দেয়া হবে কমপক্ষে ৫০টি পরিবারের যাতায়াতের সহজ পথ। জাতীয় মহাসড়কের মধ্যভাগে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন পার্ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বরিশাল নগরীতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাইলেন অংশে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। এই পার্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

গত ৬ জানুয়ারি বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া পার্কটির খবর জানে না সওজ। তবে বিসিসি বলছে, সওজের অনুমতি নিয়েই পার্ক করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পার্কটি নির্মাণ করা হলে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত প্রক্রিয়া নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত হবে। বন্ধ করে দেয়া হবে কমপক্ষে ৫০টি পরিবারের যাতায়াতের সহজ পথ। জাতীয় মহাসড়কের মধ্যভাগে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন পার্ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া মনোয়ার হোসেন নামে এক ব‌্যক্তির জমি দখল করে ওই পার্ক হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের লেকের উত্তর পার থেকে কাজীপাড়া সড়কের মুখ পর্যন্ত মহাসড়কের বাইলেন অংশে বিসিসির শিশুপার্ক হতে যাচ্ছে। শ্রমিকরা মূল মহাসড়ক ও বাইলেনের মাঝে স্থাপিত ডিভাইডার অংশ উচ্ছেদ কাজ শুরু করেছেন।

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কটির প্রায় ১১ কিলোমিটার বরিশাল নগরীর মধ্যভাগ দিয়ে বয়ে গেছে। এর মধ্যে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সিঅ্যান্ডবি সড়ক হয়ে রূপাতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত নিয়মিত যানজট দেখা যায় প্রায়ই। নগরীর মধ্যভাগের এ অংশটিতে বিসিসির সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ ২০১২ সালে কাশীপুর সুরভী পাম্পের সামনে থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে প্রশস্ত বাইলেন করেন। রিকশাসহ ছোট যানবাহনের নিরাপদ চলাচলের জন্য এটি করা হয়।

নির্ধারিত স্থানটি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিছুর রহমান দুলাল বলেন, ‘পার্ক করার বিষয়ে বিসিসি কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখতে পাই মহাসড়কের ডিভাইডারের পিলার খুলে ফেলা হচ্ছে।

‘মহাসড়ক দখল করে কীভাবে পার্ক করা হয় বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। শুনেছি মেয়র তার প্রয়াত মায়ের নামে শিশুপার্ক করছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা মোতাহার সিকদার অভিযোগ করেন, মহাসড়ক লাগোয়া দেড় শতাংশ জমি নিয়ে বিসিসির সঙ্গে তার আদালতে মামলা চলমান। জমির ওপর নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। ওই বিরোধের জমিকে এক করে শিশুপার্কের কাজ করা হচ্ছে।

আরেক বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওই স্থানে আমার টিনশেড একটি ঘর রয়েছে, সেখানে ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। করপোরেশন থেকে একজন প্রকৌশলী এসে এই স্থাপনা আমাকে সরিয়ে নিতে বলেছেন। অন‌্যথায় তারা গুঁড়িয়ে দেবেন বলে জানান।’

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই পার্কের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। পার্কটির পশ্চিম পাশ দিয়ে ২০ ফুট প্রশস্থ আরেকটি নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে।’

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, ‘শিশুপার্ক নির্মাণে বিসিসি সওজের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারা এসে দেখে গেছেন সেখানে শিশুপার্ক করলে নিরাপত্তার বিষয়ে ঝুকিপূর্ণ হবেনা।’

বরিশাল সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম খান বলেন, ‘সিঅ্যান্ডবি রোডে মহাসড়ক ও বাইলেনের মধ্যভাগের ডিভাইডার ভাঙচুর করতে দেখেছি। শুনেছি সিটি করপোরেশন সেখানে পার্ক করবে। সওজকে বিষয়টি জানানো হয়নি।’

মহাসড়কের বাইলেনে বিসিসি কীভাবে পার্ক করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি উপর মহলে লিখিতভাবে জানাবে। পার্কটি করা হচ্ছে মহাসড়কের মধ্যে।’

এ বিভাগের আরো খবর