খুলনা মেট্রোপলিটনে হরিণটানা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই এলাকার একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে এই অভিযোগ করেন খুলনার হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রতিভা রহমান মিথিলা। এ সময় তিনি সবার কাছে সহযোগিতা চান।
ফেসবুক লাইভে মিথিলা বলেন, ‘একজন ডিআইজির নির্দেশে হরিণটানা থানা পুলিশ তাদের পৈতৃক জমি দখলের জন্য প্রতিপক্ষকে সহায়তা করছে।’
তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই পক্ষের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়েছিল পুলিশ।
ফেসবুক লাইভ দেখে হরিণটানা থানায় গিয়ে দেখা যায়, অভিযোগকারী মিথিলাসহ তার পরিবারের সাতজনকে থানায় এনে ডিউিটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনগুলো পুলিশের হেফাজতে ছিল।
এ বিষয়ে হরিণটানা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই জমিতে স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তা ছাড়া দুই পক্ষের কথা শোনা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’
ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসে মিথিলা বলেন, ‘আগামীকাল আমার পরীক্ষা। একজন পুলিশের ডিআইজির বোন ওই জমিতে কিছু অংশ কিনেছেন। তবে জমি নিয়ে আদালতে মামলাসহ শরিকদের মধ্যে বিরোধ চলছে।’
মিথিলা জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই ওই জমি পুলিশের সহায়তায় দখল নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে প্রতিপক্ষ। খবর পেয়ে সেখানে বেলা ১টার দিকে পৌঁছালে পুলিশের রোষানলে পড়তে হয় তার পরিবারের সদস্যদের। পরে থানায় এনে তাদের কাছে থাকা মুঠোফোনগুলো নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক টুম্পা জানান, ওই জমিতে থাকা বেড়া ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে কলেজ শিক্ষার্থী মিথিলার ফেসবুক লাইভটি খুলনার বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য হরিণটাণা থানা পুলিশ কাজ করছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।’