বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় মহিলা দলের কর্মিসভা পণ্ড হওয়ার অভিযাগ উঠেছে। এ সময় অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হন বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সভাস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার সময় মহিলা দল জেলা সভাপতি শায়লা শারমিনের মোবাইল ফোন ও গলার চেইন ছিনতাই করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেন্দীগঞ্জ স্টিমারঘাটের কাছে শুক্কুর ব্যাপারীর বাড়ির উঠানে উপজেলা মহিলা দলের কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা মহিলা দলের সভাপতিসহ অনেক নেতাকর্মী অংশ নেন।
বেলা পৌনে ১১টায় সভা শুরু হওয়ার পর ৩০-৪০ যুবক সভাস্থলে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সভায় অংশগ্রহণকারী মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটায়। তারা চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মহিলা দলের নেতাদের অভিযোগ, হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। পরিকল্পিতভাবে তারা রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সভাস্থলে হামলা চালায়।
তারা জানান, হামলায় মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর ও উপজেলা মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদা বেগম, হোসনে আরা, আরজু বেগম, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি শরীফ তাসলিমা কালাম পলি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শায়লা শারমিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন আহত হন।
জেলা মহিলা দলের সভাপতি শায়লা শারমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলার সময় আমার মোবাইল ফোন ও গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলা নজিরবিহীন। যেভাবে আমাদের মারধর করা হয়েছে তা বর্ণনা করার মতো না। মহিলা দলের কর্মিসভায় নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে এই অবৈধ সরকারের গুন্ডারা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়। মেহেন্দীগঞ্জে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জেরেই হামলা হয়েছে।’
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার খবর আমি জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’