বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যা: ২ সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় পিবিআই

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:০৮

তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘মিতু হত্যার ঘটনায় ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী হলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি, তার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এ ছাড়া মিতুর মেয়ের সঙ্গেও কথা বলা হয়নি। আদালতের আদেশ পাওয়া গেলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।’

চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ওই দুই সন্তান এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেছে সংস্থাটি।

রোববার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭-এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক শুক্রবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যার ঘটনায় ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী হলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি, তার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এ ছাড়া মিতুর মেয়ের সঙ্গেও কথা বলা হয়নি।

‘তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে আদালতে আবেদন করেছি। আদালতের আদেশ পাওয়া গেলে কথা বলা হবে।’

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।

ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আকতার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন তিনি। সেই মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই।

এই প্রতিবেদনের প্রতি বাবুল আকতারের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। আর এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ওই মামলায় গত বছরের ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের একটি আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী তখন বলেছিলেন, ‘একই ঘটনায় মিতুর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল আকতার। এ ঘটনায় দুই মামলা আদালতে চলতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।’

এদিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবার করা মামলাও তদন্ত করছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

পিবিআই বলছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা বলেছিলেন, সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের নির্দেশেই তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। মিতুকে হত্যা না করলে কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে ক্রসফায়ারে দেয়ার ভয় দেখান বাবুল আক্তার। মিতুকে হত্যার জন্য মুছাকে টাকাও দিয়েছিলেন বাবুল।

এ বিভাগের আরো খবর