বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রক্ত দিয়ে হলেও ভোটে থাকব: তৈমূর

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৮

২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল তৈমূরকে। তবে ভোটের আগের রাতে সরে যেতে বলা হয় তাকে। এবার বিএনপির প্রতীক ছাড়াই ভোটে দাঁড়ানো তৈমূর বলছেন, এবার তিনি দলের প্রার্থী নন, কাজেই কারও নির্দেশে ভোট থেকে সরবেন না।

এক দশক আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে সরে দাঁড়ালেও এবার আর এমনটি হচ্ছে না- সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।

আগামী রোববার ভোট সামনে রেখে শেষ দিনের প্রচারে বন্দর এলাকায় পথসভায় হাতি মার্কার প্রার্থী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি রক্ত দিয়ে হলেও নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব। কারণ আমি কোনো দলের প্রার্থী নই।’

২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল তৈমূরকে। তবে ভোটের আগের রাতে সরে যেতে বলা হয় তাকে।

সে সময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে এমন কোনো অভিযোগ ছিল না। তার পরও তৈমূরের সরে যাওয়ার পেছনে অন্য কারণ ছিল।

সে সময় নির্বাচন হয় দলীয় প্রতীক ছাড়া। আওয়ামী লীগের দুই নেতা সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমান- দুজনই চান ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন। দল কাউকে সমর্থন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর একে অন্যকে করেন চ্যালেঞ্জ।

ভোটের প্রচার জমে ওঠার পর এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে লড়াই জমবে আইভী-শামীমে। এই পরিস্থিতিতে তৈমূরের সরে দাঁড়ানো আইভীর বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। সেই ভোটে শামীমকে তিনি হারান এক লাখের বেশি ভোটে।

২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি ধানের শীষ নিয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি। নৌকার কাছে তারা হারে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে।

এবার তৃতীয় নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিলেও তৈমূরের অংশগ্রহণ রাজধানী-লাগোয়া জনপদটিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াইয়ের আমেজ এনে দিয়েছে।

প্রচারে নেমে সমর্থকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন তৈমূর আলম খন্দকার

তৈমূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্ত্যবের পর থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ গ্রেপ্তারে আমরা শঙ্কিত, তবে আমরা মনে করি আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা নির্বাচনে থাকব।’

বিএনপি নেতার বিশ্বাস এবার তিনি জয় পেতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘একটা জনজোয়ার সৃষ্টি হইছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ করের বোঝা বহন করতে চায় না। মানুষ সিটি করপোরেশন থেকে যে সেবা চায়, তা পায়নি। এ কারণে মানুষ পরিবর্তন চায়।’

এই নির্বাচনে তৈমূর লড়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে। দলটির কেন্দ্রীয় কোনো নেতাই যাননি নারায়ণগঞ্জে। অন্যদিকে দলীয় প্রতীকে ভোটে যাওয়া আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে শীর্ষ নেতাদের পাঠিয়েছে।

প্রচারের শেষ দিন জেলার বাইরে থেকে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রচারে নামা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তৈমূর। বলেছেন, ‘আমি বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন করছি না। আমার নির্বাচনি প্রচারণা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে এবং তারা ঢাকার নেতাকর্মীদের চেয়ে শক্তিশালী। তারা নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষকে নেতৃত্ব দেয়।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন খুব সুন্দরভাবে চলছিল। কিন্তু আমাদের এখানে ঢাকা থেকে কিছু মেহমান এসে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য রেখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

‘যারা নারায়ণগঞ্জের লোক না, ভোটার না, বহিরাগত লোকজনকে নারায়ণগঞ্জের হোটেল ভর্তি করে রাখা হয়েছে। আমি আশঙ্কা করছি, প্রশাসন তাদের যদি সতর্ক না করে, তবে তারা একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।’

তৈমূর বলেন, ‘পুলিশের একচোখা আচরণ বন্ধ করতে হবে। যদি আমাকে এক চোখে দেখে, আর সরকারদলীয় প্রার্থীকে আরেক চোখে দেখে, তাহলে সুষ্ঠু ভোট হবে না। ভোট সুষ্ঠু হতে হলে প্রশাসনসহ সবাইকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর