ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদা খালেককে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গাইবান্ধা থেকে শুক্রবার সকালের দিকে তাকে ধরা হয়।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই যুবক। তবে কারণ এখনও জানা যায়নি। তার দেয়া তথ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়নের পানিশাইল এলাকার একটি আবাসন প্রকল্প থেকে শুক্রবার দুপুরে অধ্যাপকের মরদেহ উদ্ধার হয়।
আটক যুবকের নাম আনোয়ারুল ইসলাম। আনোয়ারুল সাবেক ওই অধ্যাপকের নতুন বাড়ি নির্মাণে কাজ করতেন। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
নিহত সাইদা খালেকের বয়স ৭১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান ২০১৬ সাল। গত ১১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
এই আবসন প্রকল্প থেকে উদ্ধার হয় মরদেহ। ছবি: নিউজবাংলা
নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করছেন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা।
তিনি বলেন, ‘ওই অধ্যাপক যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশের জমিতে তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেই প্রকল্পের আনুমানিক ২০০ গজ দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি মাহবুবে আরও বলেন, ‘ওই নারীর ছেলে আনোয়ার গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফোনে আমাদের জানায়, তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বাসার দরজা খোলা। পরে রাত ৯টার দিকে তার মেয়ে সাদিয়া এসেও মাকে বাড়িতে পাননি। দুইদিন পর ১৩ জানুয়ারি সাদিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।’
এই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন অধ্যাপক সাইদা। ছবি: নিউজবাংলা
অধ্যাপক সাইদা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সে বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছেলে ও তার স্ত্রীকে নিয়ে ৮-৯ মাস আগে আমার বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। উনার এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার। দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। আরেক মেয়ে ঢাকায় থাকেন। ম্যাডাম ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। একটা বিদেশি কুকুর পোষতেন। মাঝেমধ্যে তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী আসতেন।’
পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রকল্পের সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বাড়ির কাজ দেখাশোনার জন্য প্রকল্পের পাশে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি।’