চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে রিকশাচালক মইনুদ্দীন মুন্না ও ভ্যানচালক রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হালিশহর থানার উত্তর হালিশহর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার আরেক আসামি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক শাহজাহান পলাতক আছেন।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা-বাবা জানান, ওই তিন যুবক তাকে পাঁচ-ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে ঘটনা জানাজানির পর তাদের ভাড়া বাসার মালিককে জানানো হয়।
গত বুধবার রাতে বাড়িওয়ালা অভিযুক্ত তিন যুবককে নিয়ে সালিশ করেন। সেখানে ধর্ষণের সাজা হিসেবে তিন যুবককে ৩ হাজার করে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাড়িওয়ালা বলেন, ‘অভিযুক্ত তিনজন ও নির্যাতিত কিশোরী আমার ভাড়াটিয়া, সে জন্য নিজের মানসম্মানের ভয়ে আমি ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করি। কিশোরীর অনাগত সন্তানের ভার কেউ না নেয়ায় সালিশের কথা প্রকাশ হয়ে যায়। এতে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
‘সালিশ ডেকে নিজে ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাটি হালিশহর থানা পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনা জেনে বৃহস্পতিবার ওই তিন যুবকের মধ্যে মইনুদ্দীন ও রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
অন্য অভিযুক্ত শাহজাহানকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি বলে জানান তিনি।
হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ওই কিশোরী গর্ভবতী কি না, তা মেডিক্যাল রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
ওসি জানান, কিশোরী ও তার মাকে ডবলমুরিং থানার সেফ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। শনিবার তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে।