কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বৃহস্পতিবার রাতে কমিটি করেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক, নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম ও উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি।
ইউএনও লামইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তখনই বলা যাবে এ দুর্ঘটনা কী কারণে হয়েছে।’
নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বিরুলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ৩৫ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, ঢালুয়া ইউনিয়নে আগামী শনিবার ঐতিহ্যবাহী ঠাণ্ডাকালীর মেলা বসবে। এতে অংশ নেয়ার জন্য আনোয়ার হোসেন নামের এক বেলুন বিক্রেতা বিকেলে বাড়ির সামনে বসে সিলিন্ডারের হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলাচ্ছিলেন। তা দেখতে আশপাশের কয়েক বাড়ির শিশুরা জড়ো হয়। সে সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
বেলুন বিক্রেতাসহ আহত শিশুদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মির্জা মু. তায়েইবুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১৩ জনই শিশু। একজন শিশুর অপারেশন করা হয়েছে।
‘বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনসহ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আনোয়ার বাদে বাকি চারজন হলেন সাইফুল ইসলাম, সাব্বির, ইমন ও আবদুর রব।’
আহতদের চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন জানান, ছয়জনের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও ১০ হাজার করে বা প্রয়োজনে আরও টাকা দেয়া হবে। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।