বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্ন: ২৪ ঘণ্টাতেও হয়নি মামলা

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:১৫

নাদিমের দুলাভাই ফারুক বলেন, ‘ওর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। ডাক্তার বলেছে, নাদিমের শরীর থেকে অনেক রক্ত ঝরে গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বেশ কিছু গভীর ক্ষত হয়েছে।’

পিরোজপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করেনি পুলিশ।

আহতের বাবা জানিয়েছেন, তিনি মামলা করবেন। পুলিশ বলছে, জড়িতদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।

হামলায় কদমতলা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য নাদিম খানের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় মো. মাসুদ নামের আরেকজন আহত হন।

নাদিমের দুলাভাই ফারুক ফকির নিউজবাংলাকে জানান, তাকে পিরোজপুর থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে। এরপর নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

ফারুক বলেন, ‘নাদিমের শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। ডাক্তার বলেছে, ওর শরীর থেকে অনেক রক্ত ঝরে গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বেশ কিছু গভীর ক্ষত হয়েছে।’

নাদিমের বাবা ৭০ বছর বয়সী দিনমজুর নজরুল খান বলেন, ‘আমার ছেলে অটো চালায়ে সংসার চালায়। ওর কোনো শত্রু নাই। আমার বয়স হয়েছে। এখন এই ঝামেলা নিয়ে কে দৌড়াদৌড়ি করবে? একটু পর থানায় যাব মামলা করতে।’

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার পিরোজপুর শহরে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ভৈরমপুর এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল নাদিম খান ও মাসুদের ওপর হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে নাদিমের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে।

পিরোজপুরে চিকিৎসা নেয়ার সময় নাদিম জানান, কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শিহাব ও তার অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে শিহাবের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

এই হামলার বিচার দাবি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পিরোজপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন মল্লিক বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলবে।’

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও নাদিমের পরিবার মামলা করতে আসেনি। তারা থানায় অভিযোগ দিলে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। ওই এলাকায় পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর