গাজীপুরের শ্রীপুরে কার্যালয় থেকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ক্রিকেট খেলা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম মীর ছাত্রলীগ নেতা নয়ন শেখকে মারধর করেন। বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করলে নয়নকে ধাওয়া করা হয়। সে সময় নয়ন পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।
শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘শুনেছি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর কিছুক্ষণ পর পুকুরে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।’
‘দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় সে হয়ত পানিতে ঝাপ দিয়েছে। আবার এমনও হতে পারে তাকে মেরে পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।’
২৮ বছরের নয়নের বাড়ি কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামে। তিনি ছিলেন কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা। আসন্ন কমিটিতে তিনি সভাপতি পদের প্রার্থী ছিলেন।
আর খাইরুল ইসলাম মীর হলেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। আসন্ন কমিটিতে তিনিও যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।
মৃত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা নয়ন শেখ
নিহতের বড় ভাই রতন মিয়া জানান, বিকালে কাওরাইদ কে এন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে খাইরুলের ছেলের সঙ্গে অপরপক্ষের খেলোয়ারদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এর মিমাংসা করতে যান নয়ন।
রতন জানান, খাইরুলের ছেলেকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শাসন করেন নয়ন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে খাইরুল ও তার কর্মীরা নয়নকে ডেকে নিয়ে তাদের কার্যালয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে স্বজনরা সেখানে গেলেও নয়নকে পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ পরই কার্যালয়ের পাশের পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নয়নকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে তার মাথা ফেটে যায়। দৌঁড়ে পালাতে গেলে তাকে কোপানো হয়। সে সময় তিনি পুকুরে পড়ে যান।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমতিয়াজ মাহফুজ জানান, মরদেহের মাথায় কোপের চিহ্ন ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্তের জন্য তা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।