নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থী হিসেবে আমি কখনোই বাড়তি সুবিধা পাইনি। বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনগণ আমার সঙ্গে আছে, আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাব। আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না।’
বৃহস্পতিবার শহরের দেওভোগ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নৌকার এই প্রার্থী।
ভোটের প্রচারের শেষ সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার তুলছেন পক্ষপাতের অভিযোগ। তার দাবি, আইভীর পক্ষে কাজ করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
তবে আইভী বলেন, ‘প্রশাসন কখনোই আমার হাতের মুঠোয় ছিল না। আমি প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টাও করিনি। সবসময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি। প্রশাসন নয়, আমার জনগণকে কাছে রাখার চেষ্টা করেছি।’
তৈমূরের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘কাকে কোথায় ধরা হয়েছে আমি জানি না। আমি একজনেরটা জানি, যিনি বিএনপি নেতা ছিলেন। তার নামে নাকি হেফাজতের মামলা ছিল। আর কাকে ধরেছে, কী হচ্ছে সেটা আমি জানি না। আমার জানার ব্যাপারও না। এটা প্রশাসন দেখবে। শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা দেখভাল করবে প্রশাসন। আমি ব্যস্ত আমার প্রচার নিয়ে। আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নই। কাউকে কোনোদিন বলিনি যে এটা ধরেন বা ওইটা করেন।’
প্রশাসন সতর্ক ও সচেতন রয়েছে উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি অবনতির দিকে যায় তাহলে তা প্রশাসন দেখবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। এখানে যৌথভাবে প্রশাসন কাজ করছে। ইলেকশনের আগে একটু সমস্যা হতেই পারে। এজন্য আমি মনে করি, প্রশাসন অনেক সচেতন।’
দু্ই মেয়াদে সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সততা দিয়ে ইমানের সঙ্গে দলের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করেছি। নতুন ভোটাররা এগুলো পছন্দ করেন। কারণ আমি স্বচ্ছভাবে কথা বলি। কখনও মিথ্যার আশ্রয় নেই না।’
আইভী বলেন, ‘আমি চাই ভোটকেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে। কোনো সন্ত্রাসী যেন সেখানে ঝামেলা করতে না পারে। আমার ভোটাররা যেন ঠিকমতো ভোট দিতে পারে। মানুষ কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে-কাকে ভোট দেবে। নৌকার জোয়ার উঠেছে। মানুষ নৌকাকেই ভোট দেবে। আমি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।’
আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমার ভোটারদের বলব, উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগেও তিনটি নির্বাচন হয়েছে- একটি পৌরসভা ও দুটি সিটি নির্বাচন। সেখানেও টান টান উত্তেজনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাই ভোট দিতে গেছে। আমার আনুরোধ থাকবে, আগামী নির্বাচনেও যেন পরিবেশ আগের মতো সুন্দর থাকে। মানুষ যেন ভোট দিতে পারে।’