বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরফিন বেচে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:১৬

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেদাতুন্নবী জাকির জানান, সাজাপ্রাপ্ত সুজন ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তাকে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৩০টি জি মরফিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

মরফিন ইনজেকশন বিক্রির দায়ে সুজন খান নামে এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেদাতুন্নবী জাকির জানান, সাজাপ্রাপ্ত সুজন ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তাকে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৩০টি জি মরফিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

ওই দিনই তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই সুজিত কুমার গোমস্তা।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ডিবির এসআই ফিরোজ আলম গত বছরের ৩০ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১০ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়।

সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়।

রায় ঘোষণার পর তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাদক হিসেবে মরফিন ব্যবহার

তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে ক্যানসার, হৃদরোগসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় মরফিন ট্যাবলেট। এটি লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট রোগীদের জন্য বিক্রির কথা। তবে বর্তমানে এই ব্যথানাশক ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হচ্ছে।

বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী এই অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যবহার করছে, যা কফের সিরাপ বা পানি দিয়ে সেবন করেন তারা।

খোলাবাজারে অবৈধভাবে এই অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। এরা এই ট্যাবলেটের ২০ পিস দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করত। বাজারে ২০ পিস অক্সি-মরফোনের দাম ৪০০ টাকা।

পুলিশ জানিয়েছে, অক্সি-মরফোন হলো মরফিনের একটি অ্যানালগ ভার্সন, যা এনালজেসিক ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার হয়। এটি ইনজেকশন থেকে ওরাল ফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি মূলত মস্তিষ্কে কাজ করে। তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

মরফিন একটি ইউফোরিক ড্রাগ। এটি মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িকভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যথার সিগন্যাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসাড় হয়ে যায়। মূলত মাদকসেবীরা অক্সি-মরফোন গুঁড়া করে যেকোনো সিরাপ, পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খায়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রি ও বাজারজাতের অনুমোদন দেয়। এটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স দেখিয়ে, কোন পথে যাবে, কার কাছে যাবে এসব কিছু জানানোর পর বিক্রি করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এটি তালিকাভুক্ত মাদক। সাধারণ ওষুধের মতো এই অক্সি-মরফোন বিক্রির সুযোগ নেই। মাদকসেবীদের কাছে অবৈধভাবে এই মাদক বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।’

এ বিভাগের আরো খবর