পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড- সিএমএসএফ) ব্যাংকগুলো কত টাকা বা অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ দিয়েছে, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে ৩২টি ব্যাংক তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব ব্যাংকের কাছেই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফার ওপর প্রতি বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ঘোষণা করে। নিয়ম অনুযায়ী তা বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়।
এ প্রক্রিয়ায় একটি ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়। একটি হিসাবে তা জমা দেয় লভ্যাংশ ঘোষণাকারী ব্যাংক। বর্তমানে প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে হয়। তবে আগে কাগুজে প্রক্রিয়ায় ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পাঠানো হতো। এই ওয়ারেন্টের একটি অংশ ফেরত আসত। এভাবে অদাবিকৃত মুনাফা তৈরি হয়।
শুরুতে ২১ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হয়। তবে তহবিল গঠনের আলোচনার পর কোম্পানিগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবণ্টিত লভ্যাংশ নিতে বিনিয়োগকারীদের জানায়। এরপর বেশির ভাগ অবণ্টিত লভ্যাংশই কোম্পানিগুলো বিতরণ করেছে বলে জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত কত টাকা তহবিলে জমা পড়ল, সেটি এখনও জানানো হয়নি। তবে সেটি দেড় হাজার কোটি টাকার কম হবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে।
অদাবিকৃত এ লভ্যাংশ নিতে চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি। এই অর্থে গঠন করা হয়েছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড সিএমএসএফ।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অদাবিকৃত জমে থাকা লভ্যাংশ এই তহবিলে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
শুরুতে ২১ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হয়। তবে তহবিল গঠনের আলোচনার পর কোম্পানিগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবণ্টিত লভ্যাংশ নিতে বিনিয়োগকারীদের জানায়। এরপর বেশির ভাগ অবণ্টিত লভ্যাংশই কোম্পানিগুলো বিতরণ করেছে বলে জানানো হয়।
শেষ পর্যন্ত কত টাকা তহবিলে জমা পড়ল, সেটি এখনও জানানো হয়নি। তবে সেটি দেড় হাজার কোটি টাকার কম হবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে।
এই তহবিলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবণ্টিত মুনাফা পাঠানো নিয়ে আপত্তি আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তাদের দাবি, এই অর্থ আমানতকারীদের। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, এই ব্যাখ্যা ঠিক নয়, এই অর্থ আমানতকারীদের নয়, শেয়ারধারীদের। ফলে এই অর্থ স্থিতিশীলতা তহবিলে পাঠানো যুক্তিযুক্ত।
এরই মধ্যে এই তহবিলের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকা বার্ষিক ৬ শতাংশ সুদে আইসিবিকে দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আইসিবি এই টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে। বাকি ৫০ কোটি টাকায় একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।
এই তহবিল গঠনের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এর ৪০ শতাংশ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারে। ৫০ শতাংশ অর্থে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেয়া হবে। আর ১০ শতাংশ অর্থ অতালিকাভুক্ত কোম্পানি বা সরকারি সিকিউরিটিজ, স্থায়ী আমানত ও বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে।
তহবিলের অর্থ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী কখনও যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তার লভ্যাংশ দাবি করে, তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা তহবিল থেকে নিষ্পত্তি করা হবে।