সিরাজগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের সময় পিস্তল প্রদর্শনকারী তিন যুবকের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার কাছ থেকে খেলনা পিস্তল ও পাঁচটি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে সিরাজগঞ্জ আমলি আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ কর্মী সুমন খলিফা শহরের কোলগয়লা মহল্লার বাসিন্দা। দুপুরে শহরের মাছিমপুর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ কর্মী সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে দত্তবাড়ী হাজি আহম্মাদ আলী আলিয়া মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে পাঁচটি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ৩০ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পিস্তলের সঙ্গে জব্দকৃত পিস্তলের মিল রয়েছে। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতে এবং ত্রাস সৃষ্টির জন্য খেলনা পিস্তলটি প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে সুমন জানিয়েছেন।
ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তাকে সিরাজগঞ্জ আমলি আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি। এদিন কলেজ সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষের সময় তিন যুবককে পিস্তল প্রদর্শন করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে শহরের কয়েকটি পয়েন্টে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনটি এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলা তদন্ত করছে পিবিআই।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন জানান, পুলিশের হাতে খেলনা পিস্তলসহ গ্রেপ্তার হওয়া সুমন যুবলীগের কোনো পদে নেই, তবে তিনি সমর্থক হতে পারেন। সংগঠনের কোথাও তার নাম নেই।