খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের চলমান প্রক্রিয়া বৈধ নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সাম্প্রতিক নিয়োগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে দেয়া চিঠিতে ইউজিসি এমন মতামত জানিয়েছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে নতুন নিয়োগ কার্যক্রম বৈধ নয়। এ অবস্থায় আমরা কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য ইউজিসির কমিটি কাজ করছে। কমিটি শিগগির তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ও ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর জারি করা চিঠির নির্দেশনা মেনে চলা এবং ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার আগে কোনো নিয়োগ যৌক্তিক নয় বলে জানিয়েছে কমিশন।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে ইউজিসিকে জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
গত বছর অবৈধভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ছেলেকে অ্যাডহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে ও মেয়েকে নিয়োগ দিয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। অধ্যাপক পদে তার স্ত্রীও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছিলেন।
এসব অভিযোগে নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে নিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা ও তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়।