বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:২৫

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পাবলিক ডিপ্লোমেসি কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে আলাপ করা শুরু করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভিটায় ফেরাতে এবার সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিশ্বের অন্যতম ধনী দ্বীপরাষ্ট্রটিকে এই সংকট সমাধানে আসিয়ানকে প্রভাবিত করতেও অনুরোধ করেন তিনি।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পাবলিক ডিপ্লোমেসি কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে আলাপ করা শুরু করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

এর অংশ হিসেবে বুধবার ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার কথা বললেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। আসিয়ানভুক্ত দুটি দেশের কাছেই রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে সহায়তা চাইলেন মোমেন।

মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোমেসি উইং জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং নিজ নিজ দেশের মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

আলাপকালে মোমেন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোয় সমন্বয় অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন।

এ সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে সিঙ্গাপুর এবং আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন।

সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় আশ্বস্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ এবং টেকসই সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রতি সিঙ্গাপুর সরকারের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেন মোমেন। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে, ,বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করতে পারে।

সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার বলে উল্লেখ করেন মোমেন। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, এফটিএ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও বৃদ্ধি করে পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এফটিএ তাড়াতাড়ি শেষ করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতেও সম্মত হন।

বাংলাদেশের অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন খাতে সিঙ্গাপুর আরও বিনিয়োগ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আইসিটি ও ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চান মোমেন। বালাকৃষ্ণান এতে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান এবং পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার আশ্বাস দেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান উদযাপন করতে সম্মত হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেই সঙ্গে মোমেন তার সিঙ্গাপুরের প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করতে সিঙ্গাপুরে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য মোমেনকে আমন্ত্রণ জানান বালাকৃষ্ণানও।

এ বিভাগের আরো খবর