রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপে সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, পারস্পরিক আলোচনা যেকোনো জটিল সমস্যার সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংঘাত, সহিংসতা, জনমতবিরোধী তৎপরতা গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ, পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র বিকাশের পথকে কুসুমিত করে।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপে আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব করবে, তা একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য হবে; যা হবে শক্তিশালী কমিশন গঠনে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলমান রয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নেবে। একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শক্তিশালী কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের মতামত ও প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংলাপ শুরু করেছেন গত ২০ ডিসেম্বর, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তবে বড় দলগুলোর মধ্যে বিএনপিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। বিএনপি রাষ্ট্রপতির এই সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে না, তারা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে শ্রদ্ধাশীল নয়; তারা সংলাপে আস্থা রাখে না। বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দেশে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত আনন্দমুখর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং কমিশনের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।
ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এবং আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগে সরকার সর্বদা কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। আশা করি, আগামীতে যেকোনো ধরনের নির্বাচনি সহিংসতা এড়াতে কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও তৎপর থাকবে।’
বিবৃতিতে বিএনপি রাজনৈতিক সমাবেশের নামে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছেন। কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছেন; ডাইরেক্ট অ্যাকশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে এসব তাদের নিজেদের ওপর জেঁকে বসা ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুঙ্কার।’