বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আ.লীগ কর্মীদের’ কোপে কবজি হারালেন যুবলীগ নেতা

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৮

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শিহাব উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে এ হামলার ঘটনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

পিরোজপুরে কুপিয়ে এক যুবলীগ নেতার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হামলায় জখম হয়েছেন আর এক যুবলীগ কর্মী।

সদর উপজেলার ভৈরমপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

কবজি হারানো ওই যুবলীগ নেতার নাম নাদিম খান। তিনি কদতলা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য। আহত যুবলীগ কর্মীর নাম মো. মাসুদ।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শিহাব উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে এ হামলার ঘটনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রর্তাবন দিবস উপলক্ষে বুধবার পিরোজপুর শহরে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ভৈরমপুর এলাকায় ১৫/২০ জনের একটি দল নাদিম খান ও মাসুদের ওপর হামলা চালায়।’

মাসুদকে পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাদিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পিরোজপুর হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে হাসপাতালে দুজন রোগী এসেছেন। তাদের মধ্যে নাদিম নামের এক যুবক মারাত্মক জখম হয়েছেন।

‘ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত পড়া বন্ধ করে নাদিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় নাদিম খান জানান, পিরোজপুর কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শিহাব ও তার অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা শিহাবের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি। পরে তাকে পরিচয় জানিয়ে এসএমএস করা হয়। তবে তিনি এখনও তার সাড়া দেননি।

সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ খান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব ও তার ভাতিজা বায়জীদের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে। যুবলীগ নেতা নাদিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২০ থেকে ৩০টি কোপ দেয়া হয়েছে।’

পিরাজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিকের সমর্থক হানিফ খান। অন্যদিকে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজউল করিমের সমর্থক শিহাব উদ্দিন।

হাবিব ও রেজাউলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। এতে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে তাদের কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা।

এ বিভাগের আরো খবর