বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৌষ পার্বণ উৎসবের ক্যানভাসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৫২

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাখন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটিতে চিরায়ত বাংলার অসাম্প্রদায়িক চিত্রটি উপস্থাপিত হতে দেখে আনন্দিত হয়েছি। লোকক্রীড়া, লোকজ উৎসব প্রভৃতি সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে যথার্থ প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

হাতে হাত রেখে হাঁটছেন মৌলভি, পুরোহিত, খ্রিষ্টান পাদ্রি ও বৌদ্ধ ভিক্ষু। তাদের সঙ্গে আছেন গ্রাম্য মাস্তান, বাউল, নাপিত, কৃষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগ আয়োজিত পৌষ পার্বণ উৎসবে এমন সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের লক্ষ্য ছিল এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বিনির্মাণ।

‘সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে’ জীবনানন্দ দাশের কবিতার চরণ প্রতিপাদ্য ধরে সাজানো হয় চবির পৌষ পার্বণের অনুষ্ঠানমালা।

বুধবার দুপুর ১২টায় পৌষ পার্বণ উপলক্ষে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ঢোল-বাদ্যের তালে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রা শেষে বাংলা চত্বরে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। স্টলে স্টলে পরিবেশন করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হরেক স্বাদের পিঠা।

সাজানো পিঠাগুলোর মধ্যে ছিল ক্ষীর, পাটিসাপটা, ছাঁচ পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পুরি, নারিকেল পাকন, মিষ্টির মাখন, জামাই পিঠা, মুখ রঙিন, দুধচিতই, মাংসের ঝাল পিঠা, আফলাতুল, চিকেন রোল, ঝিনুক, পাটিসাপটা, খেজুর পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিবি পিঠা, ডিম পিঠা, ভাজা পুলি, তালের বড়া, পাকন পিঠা, চিকেন পুলি ও গোলাপ পিঠা। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয় পিঠা উৎসব।

বাংলা বিভাগের সভাপতি শফিউল আযম (ডালিম) পৌষ পার্বণ ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অন্য শিক্ষকরাও।

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাখন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটিতে চিরায়ত বাংলার অসাম্প্রদায়িক চিত্রটি উপস্থাপিত হতে দেখে আনন্দিত হয়েছি। লোকক্রীড়া, লোকজ উৎসব প্রভৃতি সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে যথার্থ প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বেলা ৩টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা দেশীয় গানে নৃত্য, লোকজ গান, নাটিকা, আবৃত্তি, পুঁথি পাঠ করেন অনুষ্ঠানে। পৌষের পড়ন্ত বিকেলে গানের দল সরলার সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

এ বিভাগের আরো খবর