দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন করে জারি করা বিধিনিষেধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢিলেঢালা বাস্তবায়ন দেখা গেছে।
বিধিনিষেধে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেকের মুখেই ছিল না সংক্রমণ রোধের উপকরণটি। এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করতে দেখা যায় থানা পুলিশের সদস্যদের।
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা বলা হয়েছিল, তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দেখা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, প্রথম দিন সফট অ্যাপ্রোচের (নমনীয় অবস্থান) মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতে কাজ না হলে আইন প্রয়োগ করা হবে।
সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, মগবাজার, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি মাস্ক পরেছেন, তবে মাস্ক না পরে চলাচলকারীর সংখ্যাও অনেক।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, প্রতিটি থানায় নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি একটি করে টিম স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে থাকবেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেগুনবাগিচা এলাকায় হ্যান্ড মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাতে দেখা যায়। যারা মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন পুলিশ সদস্যরা।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ আরেক পুলিশ সদস্যকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে মাইকিং করছিলেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবাই যাতে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা বাস্তবায়নে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আজকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করছি।’
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, বাজার বা শপিং মলে সবাই যাতে মাস্ক পরে, তা নিশ্চিতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছ। আগত ক্রেতাদের সচেতন করার পাশাপাশি মার্কেট কমিটি যাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা থানায় আগত সকলকে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করা এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্স (শারীরিক দূরত্ব) মেনে চলার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
‘মার্কেট, বাজার কমিটির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তারাও যেন ভেতরে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখে এবং নিজেরাও যাতে তদারকি করে, সে ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি থানাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি একটি টিম থানা এরিয়ায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে টহল দিচ্ছে।’