বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে হ্যানয়কে পাশে চাইল ঢাকা

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:২১

বুধবার বিকেলে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এই আহ্বান জানান। তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার বিষয়ে বুই থান সনকে অবহিত করেন এবং এই সংকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির ওপর যে তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে তা তুলে ধরেন। দীর্ঘস্থায়ী এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান আনতেও ভিয়েতনামের সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়তা দিতে ভিয়েতনাম এবং আসিয়ান জোটকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বুধবার বিকেলে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে মোমেন এই আহ্বান জানান।

তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার বিষয়ে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং এই সংকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির ওপর যে তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে তা তুলে ধরেন। দীর্ঘস্থায়ী এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান আনতেও ভিয়েতনামের সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।

এ সময় মোমেন বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের উগ্রবাদ, চরমপন্থার প্রতি ক্রমবর্ধমান সংবেদনশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই সংকট আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, মানব পাচার, মাদক চোরাচালান ইত্যাদিতে ঝুঁকি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা গোটা অঞ্চলের জন্য গুরুতর নিরাপত্তার সংকট তৈরি করছে।’

তিনি ভিয়েতনামকে অনুরোধ করেন মিয়ানমারের ওপর তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভাব প্রয়োগ করতে যাতে তাদের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়া যায়।

দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করবে আনন্দ-উৎসবের সঙ্গে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে ভিয়েতনামের প্রতি বাংলাদেশ থেকে আমদানি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং উদার বিনিয়োগ প্যাকেজ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।

তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও জোরদার করতে আরও প্রযুক্তিগত দক্ষতার নিয়মিত বিনিময়ের পরামর্শ দেন।

মোমেন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে ভিয়েতনামের সমর্থন চান।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।

তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য যৌথ বাণিজ্য কমিশন এবং অন্যান্য বাণিজ্য ব্যবস্থা সক্রিয় করার পরামর্শ দেন।

ক্রমবর্ধমান জন-মানুষের যোগাযোগের কথা তুলে ধরে, ড. মোমেন সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক এখন ভিয়েতনামে যাচ্ছেন এবং আরও ভিয়েতনামের পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করেছেন।

পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার অনেক সুযোগের দিকে ইঙ্গিত করে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সমর্থন সম্প্রসারণের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করতে সম্মত হন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একে অপরকে ঢাকা ও হ্যানয় সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এ বিভাগের আরো খবর