হাইকোর্টে আবেদন করে নানা-নানি নিজেদের জিম্মায় পেলেন নয় বছরের শিশু আবুজার আজহার আয়াতকে। তবে শিশুর বাবা ডা. এ এইচ এম আজহারুল ইসলাম সুবিধামতো সময়ে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম বুধবার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন। তিনি শিশুর নানা-নানির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
সাইফুল জানান, শিশু আয়াতকে আপাতত নানা-নানির কাছে রাখার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছে। তবে মা-বাবা চাইলে যেকোনো সময় শিশুর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। আদালত আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছে। ওই দিন শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছে আদালত।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ডা. আজহারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় গুলশানের বাসিন্দা আরেক চিকিৎসক জারিয়া টি. আহমদের। ২০১২ সালে তাদের সন্তান আয়াতের জন্ম হয়। এর দুই বছর পরই বিয়ে বিচ্ছেদ হয় আয়াতের মা-বাবার।
বিচ্ছেদের পর শিশুসন্তান মায়ের কাছে থাকলেও ২০১৯ সালে ডা. জারিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তখন বাবা নিজের কাছে নিয়ে যান শিশু আয়াতকে। মা জারিয়া এফিডেভিট করে সন্তানের লালন-পালনের ভার আজহারুলকে দেন। নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলে আয়াত এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।
নানা-নানি আয়াতকে মাঝে মাঝে গুলশানের বাসায় নিয়ে যেতেন। এরই একপর্যায়ে চলতি মাসের শুরুতে শিশুর নানা ডা. জহির উদ্দিন আহমদ ও নানি সোনিয়া টি. আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন আয়াতের জিম্মা দাবি করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আয়াতকে নানা-নানির কাছে রাখার আদেশ দেয়।
আদালতে শিশুর বাবার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।